হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ পূর্তিতে রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। সেই সঙ্গে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী, সমাজসেবক ও সমাজ সংস্কারক নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হযরত খানবাহাদুর আহছানুল্লাহ (র.) কে।
৪৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রাণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বিদ্যালয়টি। তেপান্তর পেরিয়ে আজ স্মৃতির বটবৃক্ষ হয়ে দাড়িয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী স্বীকৃতি পায়। তার পর থেকে কালের উত্থান পতনের এক বিরাট সাক্ষী প্রতিষ্ঠানটি। দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধের তাণ্ডবলীলা দেখেছে বিদ্যালয়টি। এ স্কুলের নিশান দণ্ডে তিন জাতিসত্ত্বার পতাকা উড়েছে পত পত শব্দে। প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করেছে বৃটিশ-ভারত থেকে পাকিস্থানের জন্ম। দেখেছে উত্তপ্ত পাকিস্থানি সময়। দেখেছে রক্ত শ্রোতের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
কালের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটিতে জন্ম দিয়েছে অনেক মনীষী, কবি-সাহিত্যিক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, মন্ত্রী-এমপিসহ আরও কত শত গুণিজন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ বিদ্যাপিঠের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সুদীর্ঘ শতবর্ষের পরেও সে সুনাম এতটুকু ম্লান হয়নি। সাফল্যের পরম চূড়ায় আরোহন করেছিল ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে। সমগ্র বাংলাদেশের সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে এ বিদ্যালয়টি।
এ দীর্ঘ পথ চলায় এ বিদ্যালয়টির সুনাম-সুখ্যাতি দেশের সীমানা পেরুলেও একটা ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনে। আর তা হলো এ বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ না হওয়া। দেশরত্ন ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এমন একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে ১০০ বছরের স্মৃতির ধারক ও বাহক এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মের ৩ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যাপিঠটি বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষেই সরকারিকরণ করে এ অবহেলিত এলাকার উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার করুণার দৃষ্টি নিবদ্ধ হবে এটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
লেখক : আনোয়ারুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]