গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এবং এটা চলতেই থাকবে। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমার কোন অফিসিয়াল টুর্নামেন্টে একটি করে গোল করলে ল্যাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১০ হাজার স্কুল ছাত্র এক বেলা করে খাবার পাবে। এ প্রকল্পের পেছনে আছে স্পন্সর কোম্পানি মাস্টার কার্ড। তারা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে মেসি এবং নেইমারের কোন টুর্নামেন্টে প্রতিটি গোলের জন্য তারা জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় ১০ হাজার স্কুল ছাত্রের জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করবে। এটা আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপেও চলবে।
এ প্রসঙ্গে লিওনেল মেসি বলেন, ‘এমন সুন্দর একটি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। এর ফলে হাজার হাজার শিশুর জীবন ধারা বদলে যাবে। আমি আশা করছি এর ফলে প্রচুর শিশুর মুখে হাসি ফুটে উঠবে।’ এ প্রকল্পের সঙ্গে নেইমারের নাম যুক্ত হওয়ায় নিজে খুব খুশি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অত্র অঞ্চলের শিশুদের জন্য থালা ভর্তি খাবার এবং সুখি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাই। আমরা ল্যাতিন আমেরিকানরা জানি যদি আমরা একত্রে কাজ করি তাহলে অনেক কিছুই করতে পারি। এটা তার একটি উদাহরন। সবাই মিলে আমরা ক্ষুদার বিপক্ষে যুদ্ধ করতে পারি।’
মাস্টার কার্ডের উক্ত অঞ্চলের মুখপাত্র অ্যানা ফেরেল জানান কিভাবে এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ সুবিধা ভোগ করবে। তিনি বলেন, ‘ল্যাতিন আমেরিকার ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ঠিক মতো খাবার পায় না। এর মধ্যে প্রচুর শিশু রয়েছে। ক্ষুদার বিরুদ্ধে লড়াই করে শিশুদের শিক্ষা দিতে পারলেই এক সময় তারা নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে। এভাবেই ক্ষুদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেতা যাবে।’ এ প্রকল্পে যে কেউ সরাসরি অর্থ সাহায্যও দিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। মাস্টার কার্ড আরও জানিয়েছে কেউ যদি তাদের কার্ড ব্যবহার করে একটি শিশুর জন্য একবেলা খাবারের অর্থ দান করেন তাহলে তারা তার বিপরীতে দশটি শিশুর জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করবে। মাস্টার কার্ড ইতোমধ্যেই তিন লাখ শিশুর এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছে। ওয়েবসইট।