সাতক্ষীরায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জেলার আশাশুনি উপজেলার কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুখী রাম ঢালীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই স্কুলছাত্রী। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, প্রাইভেট পড়ার সূত্রে ফেসবুকে বন্ধু হয়ে প্রধান শিক্ষক তার কাছে আপত্তিকর ছবি দেখতে চেয়েছেন। এ সংক্রান্ত ফেসবুক মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধান শিক্ষক দুঃখী রাম ঢালীর কাছে সে প্রাইভেট পড়তেন। সেই সুযোগে প্রথমে ফোন নম্বর নেন ও পরে তার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু হন প্রধান শিক্ষক। এরপর প্রায় সময় ফোন করে লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতেন। একপর্যায়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে আপত্তিজনক মেসেজ দিতে থাকেন ওই শিক্ষক। মেসেজে ও ভিডিও কলে আপত্তিকর ছবি দেখতে চান তিনি।
ওই ছাত্রী বলেন, যখন আমি একা থাকতাম তখন প্রধান শিক্ষক ওড়না ধরে টানাটানি করত। আমি এগুলো সহ্য করতে পারতাম না। ভয়ে প্রথমে ঘটনাগুলো কাউকে জানাই নি। পরে সহপাঠীদের জানালে তারা প্রতিবাদ করতে বলে।
কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক দুখী রাম দুই বছর আগে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। ছাত্রীর সঙ্গে এ ঘটনা শুনে আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে গেছি। ফেসবুকে কখন কী করেছে সেটি তো আমরা জানি না। তবে দুই দিন আগে থেকে এই অভিযোগ করছে ওই ছাত্রী। এরপর আমরা স্যারকে জিজ্ঞেস করেছি। স্যার দাবি করেছেন তার ফেসবুক হ্যাক করে এটি কেউ করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক দুখী রাম ঢালীর সঙ্গে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘অভিযোগটা আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আশাশুনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’