যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের আট নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে জেলার বিভিন্ন কলেজে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ও প্রশাসনের বাধায় যবিপ্রবিতে পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে না পারলেও যশোর সরকারি এম এম কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কলেজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
যশোর সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি আসলাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত তরুণ, রিয়াজ উদ্দিন ও নাহিদুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।
সরকারি সিটি কলেজ, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং-সংবলিত পোস্টার ও নোটিশ ছিঁড়ে ফেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোর প্রতি অবমাননা, শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীকে আজীবন ও পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৫৪তম সভায় তাদের বহিষ্কার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হুমায়রা আজমিরা এরিন, একরামুল কবির দ্বীপ ও রোকনুজ্জামান।
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী আসিফ আল মাহমুদ, মোতাসসিন বিল্লাহ, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের মাহমুদুল হাসান শাকিব, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনীম ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হারুন অর রশীদ।
আজীবন ও এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও অবস্থান করতে পারবে না এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।