রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্কে সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠ করে শোনানো হয় আদালতে। পিপি চিঠিটি পাঠ করেন। যুক্তিতর্কে আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা সব আলামত ও উদ্ধার প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিবরণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আগামী রোববার রাষ্ট্রপক্ষকে অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার তারিখ ধার্য করে আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নুসরাত হত্যার ১৬ আসামির মধ্যে অসুস্থ একজন বাদে ১৫ জনকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। এর পর রাষ্ট্রপক্ষে পিপি হাফেজ আহাম্মদ দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শুরু করেন। তিনি আদালতকে জানান, উদ্ধার ও জব্দ করা আলামতই হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আসামিদের জড়িত থাকার বড় প্রমাণ। সব আলামত বর্তমানে আদালতে জমা রয়েছে।
পিপি আদালতকে যুক্তিতর্কে বলেন, ৯ এপ্রিল নুসরাতের বাড়ি থেকে তার হাতের লেখা একটি খাতা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। এই খাতার ৭ ও ৮ নং পাতায় লেখা চিঠিটি তার বান্ধবী নিশাতের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল। এই দুই পাতার চিঠিতে নুসরাত মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা কীভাবে তার শ্লীলতাহানি করেছিল, তা লিপিবদ্ধ রয়েছে। রয়েছে অপরাধী সিরাজকে শায়েস্তা করার দৃঢ় প্রত্যয়। হাতে লেখা চিঠিটি হস্তলেখা বিশারদদের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময় বিচারক চিঠিটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য পিপিকে অনুরোধ করেন। পিপি চিঠিটি আদালতে পড়ে শোনান।
পিপি হাফেজ আহাম্মদ যুক্তিতর্কে উল্লেখ করেন, নুসরাতকে হত্যার আগে ফেনী কারাগারে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার সঙ্গে আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম, নূর উদ্দিন, ইমরানসহ কয়েকজন আসামি দেখা করে। জব্দ করা কারাগারের রেজিস্টার খাতায় তাদের নাম রয়েছে। রেজিস্টার খাতাতেই আসামিদের গভীর ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হয়েছে।