রাবিতে গবেষণাপত্র থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’র নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ - Dainikshiksha

রাবিতে গবেষণাপত্র থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’র নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি |

বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের আপত্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একটি এমফিল গবেষণাপত্রের শিরোনাম থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাডেমিক কমিটির সভায় ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি বাদ দেয়ার পরই গবেষণাপত্র জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের খাদিজা আক্তার নামে এক গবেষক বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে এ গবেষণা করেছিলেন।

বিভাগ সূত্র জানায়, খাদিজা ‘বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি : প্রেক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য’ শিরোনামে ওই এমফিল গবেষণা করেন। সেই গবেষণায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক যেসব পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল সেসব বিষয় নিয়ে তথ্য সন্নিবেশ করা হয়। এ গবেষণাটির সুপারভাইজার ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক আরিফুর রহমান এবং কো-সুপারভাইজার ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. ফায়েকুজ্জামান। গবেষণা শেষে তা জমা দেয়া হলে শিরোনাম নিয়ে আপত্তি ওঠে একাডেমিক কমিটিতে। বিএনপিপন্থি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্রের শিরোনামে ‘বঙ্গবন্ধু’ উল্লেখ করা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেন। সে কারণে ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সাধারণ সভায় গবেষণাপত্রটির শিরোনাম পরিবর্তন করতে প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী গবেষেণার শিরোনাম করা হয় ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি (১৯৭২-৭৫) : প্রেক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য’।

গবেষণার সুপারভাইজার আরিফুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করে বাংলাদেশে এর আগে অনেক গবেষণা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেহেতু প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং জাতির পিতা, তাই তার শামনামলে মধ্যপ্রাচ্যকে ঘিরে যে পররাষ্ট্রনীতি গৃহীত হয়েছিল, সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা গবেষণাটি করেছি। সে অনুযায়ী আমরা গবেষণার শিরোনামও দিয়েছি। কিন্তু একাডেমিক কমিটিতে গবেষণার শিরোনামে ‘বঙ্গবন্ধু’ বাদ দিতে বলা হয়েছে।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. ফজলুল হক বলেন, একাডেমিক কমিটিতে উপস্থিত শিক্ষকদের অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে গবেষণার শিরোনাম পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। এখানে কেউ এককভাবে কিছু করেনি।

স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036768913269043