অনেক আগেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব সদস্যপদ পূরণে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। মেয়াদোত্তীর্ণদের মাধ্যমেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ২১তম সিনেট অধিবেশন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিনেট উপেক্ষা করেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী সিনেট অধিবেশনও মেয়াদোত্তীর্ণদের দিয়েই চালাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩-এর অধ্যাদেশের ধারা ২০ অনুযায়ী সিনেট গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের মোট সদস্য হবে ১০৪ জন। উল্লিখিত সদস্যের মধ্যে এ বছরের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের মাধ্যমে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধির পদ পূরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষসহ পদ পূরণ হয়েছে মোট ৩৭টি। তবে বাকি ৬৭টি সদস্যদের মধ্যে সিনেটের শিক্ষাবিদ ক্যাটাগরি থেকে আচার্য মনোনীত ৫ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৫ সালের ২২ জুলাই, গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি পদের ৫ জনেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে একই বছরের ২১ এপ্রিল।
এছাড়া কলেজ অধ্যক্ষ পদে শিক্ষক পরিষদ মনোনীত ৫ সদস্য ও কলেজ শিক্ষক পদের ১০ সদস্যসহ মোট ১৫ জনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০০৭ সালের ১৯ মে। নিবন্ধিত গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি ২৫ জনের মধ্যে মারা গেছে ৭ জন। সবারই মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৯৯৭ সালের ৩০ মে অর্থাৎ ২১ বছর আগে। এছাড়া রাকসু নির্বাচন না হওয়ায় ৫ ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়াই সিনেট চলছে ২৮ বছর ধরে। এ হিসাবে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
সিনেট অপূর্ণ রেখেই কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, সিনেটের সদস্য পূরণ করা হয় না- সেটা নয়। সিনেট প্রতিনিধিদের ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে। আর রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট ২৫ জন সেই নব্বইয়ের দশকে নির্বাচিত হয়েছে, তাও আজ থেকে ২১ বছর আগে। নিয়ম আছে যতদিন নির্বাচন না হবে ততদিন তারা থাকবেন। শুধু অপূরণ আছে ছাত্র প্রতিনিধি। এর কারণ রাকসু নির্বাচন না হওয়া। বাকি সবাই আছেন।