কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে একাধিক পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দাঁতভাঙ্গা ফুলজান বছিরিয়া দাখিল মাদরাসা, চর বোয়ালামারী মাদরাসা, শৌলমারী এম আর স্কুল, চর শৌলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চর শৌলমারী উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পাখিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাভরি উচ্চ বিদ্যালয়, যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয়, রৌমারী উচ্চ বিদ্যালয়, বড়াইকান্দি মহিচ্ছন্নাহ্ মাদরাসা, যাদুরচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বগবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়, চাক্তাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, কলাবাড়ী বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, টাপুর চর স্কুল এন্ড কলেজ, হাসানাবাদ দাখিল মাদরাসা, নুরপুর দাখিল মাদরাসা, রৌমারী মহিলা মাদরাসা, বাঞ্চারচর দাখিল মাদরাসা, ইসলামপুর দাখিল মাদরাসা, জাফরগঞ্জ দাখিল মাদরাসা।
জানা যায়, চলতি এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ এবং কেন্দ্র ও ব্যবহারিক ফি বাবদ সরকারি বিধি মোতাবেক একজন বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ ১,৭২০ টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ওই সব বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ আদায় করছে ২ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার টাকা করে। দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া বিপাশা বলে, ‘আমাদের স্কুল নোটিশে ২ হাজার ১৩৫ টাকা নিয়ম করে দেয়।’ আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্টানের নোটিশ বোর্ডে ফি ২ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার ৭শ’ টাকা দেয়া রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্টানে মানবিক ও ব্যবসা বিভাগের শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও একই ভাবে ‘অতিরিক্ত ফি’ আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছে অনেক পরীক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান, ‘নির্ধারিত ফির চেয়ে আমাদের আরো খরচ হয়। তাই কিছু বেশি নিতে হয়। আবার অনেক শিক্ষার্থীর বেতন ও সেশন ফি বাকি থাকায় ফরম পূরণের সময় নিতে গেলে যোগ শেষে অনেক টাকা হয়। তাই অনেক শিক্ষার্থী বেতন ও সেশন ফি দেয় না।’
বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার কর্মকর্তা মোকতার হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। কোন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে এবং এর সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপঙ্কর রায় বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’