বরিশাল বিএম কলেজ অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিওর ক্যাশের মাধ্যমে কলেজে ফি দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে শিওর ক্যাশের সাথে কথা বলবো, যদি আমাদের শর্ত তারা না মানে তাহলে অন্য কোম্পানীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার বিষয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে তিন দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের সাথে কলেজের বিভিন্ন অভিযোগসহ শিওর ক্যাশের মাধ্যমে ফি জমা দিতে এজেন্টদের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে আলোচনা করেন শিক্ষার্থীরা ।
এসময় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদুল ইসলাম আকাশ দৈনিক শিক্ষাকে জানান, তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থী নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে জানান, শিওর ক্যাশের মাধ্যমে ফরম পূরণসহ বিভিন্ন ফির টাকা জমা দিতে ৩০টাকা দেয়ার কথা থাকলেও কলেজের সামনের দোকানের শিওর ক্যাশের এজেন্ট ১০০ থেকে ১৫০টাকা অতিরিক্ত আদায় করেন। এসময় ৩০ টাকার অতিরিক্ত এক টাকাও শিওর ক্যাশের এজেন্টকে দেবেন না বলে অধ্যক্ষকে জানান শিক্ষার্থীরা। আর কলেজের বাইরে গিয়ে টাকাও জমা দেবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জানায় কলেজের প্রস্তাবে রাজি না হলে শিওর ক্যাশ বাদ দিয়ে অন্য কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে বিএম কলেজ।
এছাড়া সভায় বছরে দুই বার সেশন চার্জসহ ফরম পূরণে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় সেশন চার্জ একবারে নেয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্য কলেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এ সভায়।
উল্লেখ্য, রোববার (৩০ জুন) তিন দফা দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ, মিছিল ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে আজ কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন।