শিক্ষকরা যেভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকরা যেভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দুটি চক্রের নয়জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গতকাল সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এই নয় ব্যক্তির মধ্যে চারজন শিক্ষক রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় ডিবি।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আশুলিয়ার গাজিরচট এ এম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোজাফফর হোসেন, শিক্ষক আতিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী আবদুল মজিদ, সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, টঙ্গীর কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন, সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন ও তানভীর হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, সাধারণত তিনটি পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কারও মাধ্যমে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মুদ্রণস্থান (বিজি প্রেস) থেকে। তৃতীয় পর্যায়ে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পরীক্ষার কেন্দ্র-উপকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের সময়। গ্রেপ্তার হওয়া নয় ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁসের তৃতীয় পর্যায়ের সঙ্গে জড়িত।

আবদুল বাতেন আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন অধ্যক্ষ মোজাফফর। তিনি পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র আনার সময় ছবি তুলতেন। এই ছবি শিক্ষক আতিকুলের কাছে পাঠাতেন তিনি। প্রশ্নের সমাধান করে তা একটি বিশেষ ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে পাঠাতেন আতিকুল। প্রায় দুই হাজার সদস্যের ওই বিশেষ ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিনের নাম জি এম সাগর। তিনি প্রশ্ন ও উত্তর ফেসবুক গ্রুপে দিয়ে দিতেন। বিনিময়ে ফেসবুক গ্রুপের সদস্যদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা করে আদায় করতেন। এই টাকা পুরো চক্রের মধ্যে বণ্টন হতো।

ডিবির এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের দ্বিতীয় চক্রের নেতা শিক্ষক জাহাঙ্গীর। তিনিও একই কায়দায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031850337982178