বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণ ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফেসবুকে করা মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠলে ওই প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েক জন শিক্ষকের কুকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসে।
শিক্ষকের কাছে লাঞ্ছিত হওয়ার পর পারিবারিক ও সামাজিক চাপে সমঝোতা করতে হয় বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীকে।
গত ২০শে জানুয়ারি বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ওই নারী শিক্ষার্থীর হাত ধরে টানাহেঁচড়া করেন। চেষ্টা করেন তাকে নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়ার। ঘটনার বিবরণ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সভাপতি, তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন লাঞ্ছিত ওই শিক্ষার্থী।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে সমঝোতা করতে বাধ্য হয় মেয়েটির পরিবার। ঘটনার কয়েক মাস পর গত বুধবার একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিবের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ করে পোস্ট করেন আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী। পোস্ট তুলে নিতে মেয়েটিকে ফোন করে নানা হুমকি দেন ওই শিক্ষক।
এদিকে,অধ্যক্ষের মদদেই দিন দিন এমন অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ করলেন ওই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ শফিকা আক্তার। তবে,অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান।
শিক্ষাবিদরা বলছেন,দিন দিন এসব ঘটনা বাড়ায় শিক্ষকরা হারাচ্ছেন তাদের মর্যাদা। এ ধরনের অপরাধ রোধে পরিবারকেই সবার আগে পাশে চান ভুক্তভোগীরা। নারীরা নির্যাতিত হওয়ার পর সামাজিকভাবে তাকে অপদস্ত না করে প্রচলিত আইনে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি সবার।