২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর মাধ্যমে পিএসসির আদলে প্রিলি-লিখিত-ভাইভায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা-জেলায় মেধার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সে অনুযায়ী ১৩তমের সার্কুলার জারির মাধ্যমে শূন্যপদের বিপরীতে প্রায় ১৭ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ইত্তেফাক প্রত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, এদিকে প্রথম থেকে ১২তমের সনদ বাতিল হলে ক্ষুব্ধরা হাইকোর্টে ১৬৬টি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ফলে ১৩তমরা নিয়োগ বঞ্চিত হলে তাঁরাও হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। হাইকোর্ট ১৬৬টি মামলার ৭টি নির্দেশনাসহ মীমাংসিত রায় দেন যে, এনটিআরসিএ সনদ অর্জনকারীরা জাতীয় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবে এবং নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সনদ বহাল থাকবে। জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করা হলে ছয়মাস কম্পিউটার ডিপ্লোমাধারী আইসিটি ও ৩৫ বছর ঊর্ধ্বরা নিয়োগবঞ্চিত হন।
এমনকি সদ্য পাশ করা ১৪তম প্রভাষক আইসিটি শিক্ষকরাও দ্বিতীয় চক্রের গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও যোগদান করতে পারেননি ঐ নীতিমালার কারণে, যা হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থি। ৫ নভেম্বর, ২০১৮ সালে হাইকোর্ট ১৩তমদের গেজেট ও পরিপত্র অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে একক নিয়োগের রায় প্রদান করেন। তত্কালীন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আশফাক হোসেন চেম্বার কোর্টে ১৩তমদের রায়কে স্টে করে দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে গত ১২ মার্চ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখেন।
অবাক করার বিষয় হলো, একটি মামলা রায়ও এনটিআরসিএ-র পক্ষে যায়নি। প্রথম থেকে ১২তম এবং ১৩তমদের কোনো ব্যবস্থা না করেই বিভিন্ন পরিপত্র জারির কারণে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই আজ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র শিক্ষক সংকট চলছে। আশা করি, এনটিআরসিএ-র নতুন চেয়ারম্যান শীঘ্রই এই অচলাবস্থা দূর করার ব্যবস্থা নেবেন।
লেখক : সাইফুর রহমান, সহকারী শিক্ষক (গণিত), বাহুবল, হবিগঞ্জ