চলতি নভেম্বরে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৭০ হাজারের বেশি শূন্যপদে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু শিক্ষার অধিদপ্তরগুলো থেকে এখনো বেশিরভাগ শূন্যপদে তথ্য যাচাই হয়ে না আসায় কাঙিক্ষত সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এনটিআরসিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, অধিদপ্তরগুলো থেকে শূন্যপদের তথ্য যাচাই হয়ে এলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, প্রথম দফায় ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে শূন্যপদের তথ্য যাচাই করে পাঠাতে বলেছিলো এনটিআরসিএ। পরে সে সময় ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়ে। কিন্তু বর্ধিত সময়েও ৭৪ হাজারের বেশি শূন্যপদের তথ্য যাচাই হয়ে আসেনি। তবে, আজ বুধবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শূন্যপদের তথ্য যাচাই করে পাঠিয়েছে বলে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
এ পরিস্থিতিতে নিবন্ধিত প্রার্থীরা দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিচ্ছেন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম করে তুলেছেন তারা। প্রস্তুতি নিচ্ছেন আগামী ১০ নভেম্বর কর্মসূচি ঘোষণার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শূন্যপদের তথ্য এলেও অনেক তথ্যই যাচাই হয়নি। সেগুলো নিয়ে গত সোমবার ওই অধিদপ্তরের গিয়েছিলেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। তারা যাচাই না হয়ে আসা পদগুলোর তথ্য যাচাইয়ের তাগিদ দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই শেষে বুধবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এনটিআরসিএতে পাঠিয়েছে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের কাছে যাচাইয়ের জন্য তথ্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা নিয়েই আমরা শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অধিদপ্তরগুলো থেকে তথ্য যাচাই হয়ে এলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি চাইবো। যাচাই হওয়া শূন্যপদের তথ্য পেলে গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম শুরু হবে।
আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রার্থীদের আবেগতাড়িত না হয়ে সব জেনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির অনুরোধ জানাতে চাই। তারা তো শিক্ষক হবেন।