শিক্ষাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে : এহছানুল হক মিলন - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে : এহছানুল হক মিলন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, করোনা বিশ্বব্যাপী আঘাত হেনেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া এমন কোনো দেশ নেই যেখানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে, শিক্ষার্থীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। আসলে বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও শিক্ষা থেমে নেই। শিক্ষাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ মে) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আকতারুজ্জামান।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায় এহছানুল হক মিলন বলেন, উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাকালে কীভাবে পরিচালনা হচ্ছে এটি জানতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নাই। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অনুসরণ করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ ছিল না। শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যর্থতা কোনো অর্থনৈতিক কারণ, সুযোগ-সুবিধার স্বল্পতা বা প্রযুক্তির কারণে নয়, এই ব্যর্থতা সরকারের সদিচ্ছার অভাবে। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিচালনার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও (ইউজিসি) কোনো গাইডলাইন দিতে পারেনি।

করোনায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখতে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। করোনাকালে সরকার মহাজনের মতো শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ঋণ দিয়েছে। এই মহাজনী প্রথা থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। মিলন বলেন, উন্নত বিশ্বেও শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম সবেমাত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু তাদের বিশ্ববিদ্যালয় এক দিনের জন্য বন্ধ হয়নি। টিকার সংকটে এখন বলা হচ্ছে দেশে উৎপাদন করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। করোনা নিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা কালক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয়। আসলে এসবের মাধ্যমে শিক্ষাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। শিক্ষাকে ধ্বংস করাই সরকারের উদ্দেশ্য।

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার যদি কার্পণ্য করে তাহলে বলব এই সরকার শিক্ষাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দেয় না, শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের হোক এটি সরকার চায় না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এ দেশ যদি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে পারে তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ফ্রি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি কেন? করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গত বাজেটেও শিক্ষার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। শিক্ষা নিয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নাই। সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তহীনতা ও অটোপাস দিয়ে শিক্ষাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। শিক্ষায় ব্যর্থ হলে আগামী ১০ বছর পর এ জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। সরকার সুপরিকল্পিতভাবে শিক্ষাকে ধ্বংস করছে।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00382399559021