শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিলেটে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর চৌহাট্টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে তারা সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবিগুলো জানান।
এ সময় তারা দেড় ঘণ্টা চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে বেলা দেড়টায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরীর চৌহাট্টার সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় ‘জেগেছেরে জেগেছে-ছাত্রসমাজ জেগেছে, লেগেছেরে লেগেছে-রক্তে আগুন লেগেছে’ স্লোগানে স্লোগানে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট পুরোপুরি বন্ধ করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে বেলা ১টায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করেন। পরে বেলা দেড়টার সময় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
কর্মসূচি পালনকালে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী গোল বৃত্তবন্দি হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে চারদিকের রাস্তায়ই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে স্লোগানে স্লোগানে তাদের দাবিগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরেন।মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান মাস্টার্সসহ সব পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাস খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার করোনার দোহাই দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে, দেশের অন্যান্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রেখে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে।মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে এসে মিছিল শেষ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুস সাকিব, আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন, মোস্তাফিজুর রহমান, আখতার হোসেন, তোফায়েল আহমদ, সায়েম আহমদ, তারেক আহমদ, ওয়াহিদুজ্জামান মাসুদ, ফাহাদ আহমদ, জাহিদ হাসান, জাতীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আশরাফ আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জুনায়েদ আহমেদ, রাহুল আহমদ, সাবিনা সেবিন প্রমুখ। এদিকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর তাদের দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।