বরগুনার আমতলী একে হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে ভূরিভোজ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান সিকদারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, আমতলী একে পাইলট হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণির ১০২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ চাঁদার টাকা দিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ ২ শতাধিক লোককে ভূরিভোজ করান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান সিকদার। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে করে ভোজের আয়োজন করে আসছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক বলেন, পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদেরকাছ থেকে জোর করে ১ হাজার করে চাঁদা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকরা। অধিকাংশ দরিদ্র শিক্ষার্থীরা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদার টাকা আদায় করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকারী শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছানুযায়ী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা তুলেছেন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষক এতে রাজি ছিলনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান সিকদার ভোজের কথা স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন এবং তারাই খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। টাকা উত্তোলনের বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
আমতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফাতিমা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, টাকা উত্তোলন ও খাবারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১ হাজার টাকা উত্তোলন করা অন্যায়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই । বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।