শিক্ষার্থীদের মাদকের বিষয়ে সচেতন হওয়ার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রশাসনের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) খন্দকার রকিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে (ইউএপি) আয়োজিত মাদকবিরোধী আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রকিবুর রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে জনসচেতনতার কাজ শুরু করেছে তা মূলত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য শিক্ষা প্রশাসনকে সচেতন করা। প্রতিষ্ঠান যদি মনে করে তাদের কোন শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত অবস্থায় বের হবে না, তাহলেই আমরা এ অর্জন ধরে রাখতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, কোন শিক্ষার্থী এখানে অধিদফতরের ডিজির বক্তব্য শুনতে আসেনি। ডিজির বক্তব্য তাদের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করবে বলে মনেও করি না। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন, শ্রেণিকক্ষে বক্তব্য দেন, যে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ডিল করেন সে যদি তাকে একটা মাদকবিরোধী পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীরা অবশ্যই তা পালন করবে।
ডিজি বলেন, ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর একটি সার্কুলার জারি করেছে তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যেক সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীকে ডোপ টেস্ট করা হবে। ডোপ টেস্টে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশে খুব একটা মাদকের উৎপাদন না হলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আসা মাদকের কারণে তরুণ সমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে। মনে রাখতে হবে দেশের তরুণেরা ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ব্যর্থ হবে। তাই মাদকের কুফল তুলে ধরে সকলকে সচেতন করতে হবে।
ইউএপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রমিসেস মেডিকেল লিমিটেডের চিফ কনসালটেন্ট প্রোফেসর ডা. জহির উদ্দিন আহমাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউএপির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম আর কবির।