শিক্ষায় সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের যত সফলতা - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষায় সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের যত সফলতা

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন |

গৌরব আর ঐতিহ্য বজায় রেখে দীর্ঘ ২৭ বছর পাড়ি দিয়েছে সৃষ্টি শিক্ষা পরিবার। রাজধানী, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের ৮ জেলায় রয়েছে সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাখা। এসবের মধ্যে আবাসিক শাখা ও ক্যাডেট একাডেমিও রয়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, গাজীপুর জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ১৬টি শাখা ও অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। 

রাজশাহীতে সফলতার শীর্ষে সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সফলতার সঙ্গে নয় বছর ধরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শতভাগ। প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহীর উপশহরের দুই নম্বর সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটিতে দুই শিফটে ক্লাস হয়। সকালে প্রথম থেকে পঞ্চম ও বেলা ১১টায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়টিতে পাসের হার শতভাগ। দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে পড়ানো হয়। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না আসলে এক ঘণ্টার মধ্যে অভিভাবককে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়। 

তিনি আরও বলেন, স্কুলটিতে রয়েছে একটি কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু কর্নার। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটে। 

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারপরের বছর ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ৪৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন জিপিএ-৫, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ৯৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৯৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৭ জন, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ১০২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ জন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ১২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯০ জন, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ১২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৪ জন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৫৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৮ জন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ১৪৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯০ জন ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ১৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। 

জেএসসি পরীক্ষায় শেষ তিন বছরেও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৪জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ১৭৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩ ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ১৮৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেএসসিতে পাসের হার শতভাগ। 

এছাড়া এসএসসিতে ২০১২-১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৫২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১জন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ৩৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জন, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ৫১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫জন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ৬২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯ জন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ১১৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ জন ও সর্বশেষ ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ১১৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে শেষের দুই বছর ছাড়া পাসের হার শতভাগ। 

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তিনজন শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। পরের বছর এক শিক্ষার্থী। এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ১২ শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়। এছাড়া ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে এক শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এছাড়া ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ছয়জন সাধারণ ও ৫জন ট্যালেন্টপুলে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে চারজন সাধারণ ও ১জন ট্যালেন্টপুলে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সাত জন সাধারণ ও ৩ জন ট্যালেন্টপুলে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে চারজন সাধারণ ও ২ ট্যালেন্টপুলে বৃ্ত্তি পেয়েছে। 

২০১০, ১১ এবং ১৩ খ্রিষ্টাব্দে জেএসসিতে একজন করে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। এছাড়া ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ২ জন সাধারণে বৃত্তি পায়। পরের বছর ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এক শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে ও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ৫ শিক্ষার্থী সাধারণ ও ১ শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। 

২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসিতে ট্যালেন্টপুলে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সাধারণে ৩ জন ও ট্যালেন্টপুলে এক শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। এছাড়া ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সাধারণে ৩ জন ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সাধারণে ২ ও ট্যালেন্টপুলে ২ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির সপ্তম শ্রেণি শিক্ষার্থী তাবাসুম নাবিলা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের পড়া ক্লাসের সম্পন্ন হয়ে যায়। কোনো পড়া বুঝতে না পরলে শিক্ষাকরা সময় নিয়ে বুঝিয়ে দেন।   

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে পড়ানো হয় ক্লাস শেষে। এছাড়া ক্লাসের পড়া-ক্লাসেই করানো হয়। নেয়া হয় বিভিন্ন ক্লাস পরীক্ষাও। বিজ্ঞান চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিজ্ঞান ও আইসিটি মেলার আয়োজন করা হয়। ক্লাসের শিক্ষার্থী তাদের গবেষণালব্ধ বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করে এই মেলায়। 

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004054069519043