ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবিতে সমাবেশ করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ। এসময় তারা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ ও শিক্ষকদের না জানিয়ে নানান সিদ্ধান্ত নেয়ার অভিযোগ আনেন।
অপরদিকে, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন ওই কর্মকর্তা। রোববার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শেখ কামরুজ্জামানের সাথে রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে যান। এসময় ওই কর্মকর্তা শিক্ষক নেতাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক নেতারা।
এর প্রতিবাদে মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি রবীন্দ্রনাথ গুহ, বর্তমান সভাপতি রায়পুর ইউনিয়নের গোপালদী গ্রামের শুকুর মাহমুদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাজির হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক বাগাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রজব আলী মোল্যা, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মধুখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. কবিরুল আলম, মধুখালী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলিমুজ্জামান প্রমুখ।
মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি নাজির হোসেন মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষা কর্মকর্তা মধুখালীতে এসে শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করেননি। তিনি এমন কিছু বিতর্কিত কাজ এ সময়ের মধ্যে করে ফেলেছেন তাতে শিক্ষক হিসেবে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেছেন। ওই কর্মকর্তার অধীনে আমরা কাজ করবো না। তবে ফলক ভেঙ্গে ফেলা ও কার্যালয়ে তালা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, তিনি গত ৫ জুলাই ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে বদলি হয়ে মধুখালীতে যোগ দেন। আজ প্রথম তিনি স্থানীয় শিক্ষক নেতাদের সাথে মত বিনিময় করতে তাদেরকে তাঁর কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই সময় এ অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র মন্ডল বলেন, তিনি শিক্ষক নেতাদের উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, নাম ফলক ভাঙ্গা ও অফিসে তালা দেওয়ার হুঁমকির কথা জানতে পেরেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।