বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সহযোগী অধ্যাপকদের পদোন্নতির লক্ষ্যে তৈরি করা খসড়ায় শুরুতে বাদ দেয়া হয়েছিলো ১০ শতাংশ কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের।
তবে, আগামী রোববার নাগাদ খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে শতাংশ কোটাধারীদেরও তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিনে জনাবিশেক ১০ শতাংশ কোটাধারী পদোন্নতির জন্য আবেদন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ১০ শতাংশধারীদের বাদ দিয়েই খসড়া তৈরি হয়। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়।পিএসসির বিধান মেনে তাদেরকে পদোন্নতি দেয়া হবে। ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহেলায় এসিআর খোয়া যাওয়ায় ঈদের আগে পদোন্নতি কমিটির সভা বসতে পারেনি বলে জানান কর্মকর্তারা।
সরাসরি বি সি এস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান বেশিরভাগ সরকারি কলেজ শিক্ষক। এছাড়া জাতীয়কৃত কলেজ থেকে শিক্ষকরা আত্তীকৃত হয়ে ক্যাডারভুক্ত হন। এছাড়া রাষ্ট্রপতির কোটায় ১০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। কোটায় নিয়োগ পেতে আলাদা আবেদন করতে হয়।
উচচতর ডিগ্রিধারী বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের সরকারি কলেজে চাকরির সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ২০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি চালু করেন। এরশাদের আমলে সেটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। সরকারি কলেজ শিক্ষকরাও এখন এই সুযোগ নিয়ে থাকেন। ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা, মানে এমফিল, পিএইচডি অথবা সব ফার্স্টক্লাশ অথবা প্রকাশনা না থাকলে ১০ শতাংশ কোটায় আবেদন করা যায় না।