শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবসের মর্যাদা দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ সেপ্টেম্বর শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নবকুমার স্কুলের ছাত্র বাবুল, বাস কন্ডাক্টর গোলাম মোস্তফা ও গৃহকর্মী ওয়াজিউল্লা শহীদ হন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটিকে জাতীয় দিবসের মর্যাদা দেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বিবৃতিতে বলেন, তৎকালীণ পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী শিক্ষা সঙ্কোচনমূলক শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন ১৭ সেপ্টেম্বর। ১৯৬২ খ্র্রিষ্টাব্দে ছাত্রসমাজ শরীফ কমিশন প্রতিবেদনকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতি হিসেবে চিহ্নিত ও মূল্যায়ন করেন, শিক্ষা সংকোচনমূলক গণবিরোধী প্রতিবেদন তারা প্রত্যাখ্যান করেন। ছাত্ররা আগে থেকেই আইয়ুব খান তথা সামরিক আইনবিরোধী আন্দোলনে ছিল। এমন একটা অবস্থায় শরীফ কমিশনের গণবিরোধী সুপারিশ ছিল ভিমরুলের চাকে ঢিল দেয়ার মতো। ৬২'র আন্দোলনের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় শিক্ষার আন্দোলন ও গণতন্ত্রের আন্দোলন এক সূত্রে গাঁথা।
তারা বলেন, ৬২'র সেই আন্দোলনের ছাত্রসমাজের সাথে ওই দিনের বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল ৯৫ শতাংশ। দেখা গেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে পর্যন্ত নৌকার মাঝিরা বৈঠা হাতে মিছিল নিয়ে চলে এসেছে। ওই ঘটনার পর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
তারা বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ৪টি মোটা দাগের ঘটনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে আর তা হল- ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর আন্দোলন ও ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচন। দুঃখজনক হলেও সত্য এত বছরেও দিনটি এখন পর্যন্ত জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি পায়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগোপযোগী পরিবর্তন আসেনি।
বিবৃতি জানানো হয়, শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ন্যাপ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে শিক্ষা অধিকার চত্বরে শিক্ষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।