বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি, বিদোৎসাহী সদস্য মনোনয়নে সমমানের বা তদুর্ধ্ব মানের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত/ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে যে কোনো একটি পদে রাখা বাধ্যতামূলক করা হোক। কারণ প্রধান শিক্ষক আইন বিধি-বিধান বুঝবেন এমনকি ফাঁক-ফোকরও বুঝবেন, ফলে শিক্ষার মান উন্নত হবে ও প্রতিষ্ঠানে আর্থিক স্বচ্ছতা আসবে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব সব ক্ষেত্রে থাকে, তার সঙ্গে যদি সাংসদ কর্তৃক সভাপতি, বিদোৎসাহী মনোনয়নের ব্যবস্থা রাখা হয়, তবে অনেক সময় অযোগ্য লোক রাজনৈতিক লিয়াজোঁ করে পদে আসীন হবে এবং প্রতিষ্ঠান রাজনীতির কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আবার পরিচ্ছন্নতা-কর্মী, আয়া, নৈশপ্রহরী—এ জাতীয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে জেএসসি/ জেডিসি/ সমমান। সমমান বলতে যদি বলা হতো জেএসসি সমমান তবে তা জেডিসিকে বোঝাত। সমমান বলতে হওয়ার কথা ছিল যে কোনো একটি কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় (কারিগরি বোর্ড/ইংরেজি মাধ্যম)। কিন্তু এখানে সমমানের ব্যাখ্যা না থাকায় অষ্টম শ্রেণি পাস যার কোনো সরকারি সনদ নেই, ফলে যে কোনো স্কুল অথবা মাদরাসা থেকে অর্থের বিনিময়ে একটি সনদ নিয়ে আবেদন করার সুযোগ থেকে যায়। তাই এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি বাধ্যতামূলক করে ‘সমমান’ কথাটি বাদ দেয়া হোক।
আবেদনকারীর বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ করা হয়েছে, কিন্তু সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়নি। তাই এক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ করা হোক। বিষয়গুলোর প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. ইয়াছিন মজুমদার : শ্রীরামপুর, মনতলী বাজার, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।