এখন আপন মামা, চাচা, খালু দ্বারা শিশু ধর্ষিত হয়। বাবা শিশুসন্তানকে মেরে ঝুলিয়ে রাখেন। মা তাঁর সন্তানকে ছাদের ওপর থেকে ফেলে দেন। শিশুকে মেরে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন। এ রকম খবর হরহামেশা পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। ঘরে কি বাইরে, আপন কি পর—কোথাও শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নেই। শনিবার (১৯ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকার নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
এর কারণ মানুষের নৈতিক অবক্ষয়। মানবিকতা, মূল্যবোধে ধস নেমেছে। মানুষ হয়ে উঠেছে স্বার্থান্বেষী। মনুষ্যত্ব আজ বিলুপ্তির পথে। শিশু কখনো অপরাধী হয় না। তাকে কেন হত্যা করা হবে? সে কেন ধর্ষিত হবে? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা জরুরি। শিশুকে ভালো-মন্দ শিক্ষা দিতে হবে।
কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ বোঝাতে হবে। আজকাল কাজের লোকের কাছে শিশু মানুষ হয়। মা-বাবা এতই ব্যস্ত, সন্তানের লালন-পালন তাঁরা করেন না। তাঁদের কাছে কমই থাকে শিশুরা। ফলে শিশু মাতৃ-পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে বেড়ে ওঠে। কাজের লোকের কাছে খারাপ জিনিস শেখে। কখনো বা কাজের লোক দ্বারা নির্যাতিতও হয়। সন্তানকে মা-বাবার সময় দিতে হবে। শিশুহত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের নিরাপদ পরিবেশে মানুষ করতে হবে। এ জন্য ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। মা-বাবা সচেতন থাকলে শিশু বিপদে কমই পড়বে। শিশুর নিরাপত্তায় মা-বাবাকে আরো বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
লেখক, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বানারীপাড়া, বরিশাল।