শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে বহিরাগত যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে এর আগে কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে তারা।
রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির চারপাশে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রাস্তা থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের যানবাহন বেপরোয়াভাবে যাতায়াত করে। ফলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে চলাফেরায় প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জাবের আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু বেশ কয়েকটি সরকারি কার্যালয় ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রবেশে বাধা দিতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, হাসপাতালসহ সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের যানবাহনকে ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের সঙ্গে অনেক ব্যক্তিগত গাড়ির চালক জোর করেই ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। তাদের বাধা দিতে গেলে অনেকে দুর্ব্যবহার করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘নিরাপত্তাকর্মীদের সংখা নগণ্য হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক উপকরণ না থাকায় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছি।
’বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন বলেন, ‘যেসব বহিরাগত ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালায় তারা প্রভাবশালী। প্রতিরোধ করতে গেলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে আমরা তাদের সতর্ক করব যেন তারা ধীরগতিতে গাড়ি চালায়। না মানলে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। ’
শিক্ষার্থীরা এ সমস্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করে। তারা মনে করে প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিলে বহিরাগত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।