সরকারিকরণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অবস্থানে শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

সরকারিকরণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অবস্থানে শিক্ষকরা

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন পালন করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়ে শনিবার  দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারীদের এই অবস্থান কর্মসূচি। সারাদেশ থেকে আসা প্রায় কয়েকশ শিক্ষক-কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।

জোটের নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সু-স্পষ্ট ঘোষণা ছিল, ‘শিক্ষার জন্য খরচ কোনও ব্যয় নয় বরং এটা উত্তম বিনিয়োগ।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ভঙ্গুর  অর্থনীতির দেশে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন এবং বেসরকারি কলেজের বেতন ১৫০ টাকায় উন্নীত করেন। তাছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য রেশনিং এর ব্যবস্থা করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় ২৬ হাজার একশ’র বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।  এমপিওভুক্ত  শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয়, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই ভর্তুকি ব্যাতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব।’

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো) এর মহাসচিব  রফিকুল ইসলাম,  সহসভাপতি ফয়েজ আহমেদ, অনলাইন শিক্ষিক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম, জহিরুল ইসলাম,  বিপ্লব দাস আব্দুল জব্বার, শেখ মো. জসীম উদ্দিন প্রমুখ।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033659934997559