নীলফামারীর জলঢাকায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছে আলহেরা এডুকেয়ার হোম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। করোনা ভাইরাস থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এ সময় শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাস ছাড়া অন্য কোন কার্যক্রম না করার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়,গত ৫ অক্টোবর থেকে সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্ন, উত্তরপত্র ও রুটিন সংগ্রহ করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইলে একটি মেসেজ পাঠান আলহেরা এডুকেয়ার হোম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ওই প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে অভিভাবকরা স্কুলে গেলে জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করার পর পরীক্ষার প্রশ্ন, উত্তরপত্র ও রুটিন দেয়া হবে বলে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় ওই ৩ মাসের বেতন দিতে অস্বীকৃতি জানান অনেক অভিভাবক। এ সময় বেশ কিছু অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের ঝগড়াও হয়। একপর্যায়ে ওই ৩ মাসের বেতন এক সঙ্গে পরিশোধ না করে তা কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে এক মাসের বেতন পরিশোধ করার পর সাময়িক পরিক্ষার প্রশ্ন,উত্তরপত্র ও রুটিন হাতে পান অভিভাবকরা।
ওই স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাবা মাসুদ রানা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের সময় স্কুল বন্ধ ছিল,তবে শুনছি তারা কিছুদিন থেকে না কি অনলাইন ক্লাস করতেছে। এখন পরীক্ষা নিচ্ছেন। আমার তো স্মার্ট ফোন নেই আমার মেয়ে কিভাবে অনলাইনে ক্লাস করবে। আর স্কুল বন্ধ থাকা ওই ৩ মাসের বেতন নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে এক মাসের বেতন পরিশোধ করার পর আমাকে আমার মেয়ের পরীক্ষার প্রশ্ন,উত্তরপত্র ও রুটিন দেয়া হয়।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা নেয়া এবং অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে আলহেরা এডুকেয়ার হোম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পরিচালক স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে বক্তব্য জানাবো।’’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এখনও পরীক্ষা নেয়ার কোন সিদ্ধান্ত আসেনি,আলহেরা কর্তৃপক্ষ কোন নির্দেশনায় পরীক্ষা নিচ্ছে তা জানতে ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।