পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী সরকারি কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। গতকাল শুক্রবার একই কলেজের প্রভাষক(গনিত) মো. শামিম হোসেন এ জিডি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট সকাল এগারোটায় কলেজের অধ্যক্ষের আমন্ত্রণে শিক্ষক পরিষদের সচিবের উপস্থিততে কলেজের সকল শিক্ষকদের নিয়ে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন কলেজের প্রভাষক (গনিত) মো. শামিম হোসেন। মিটিংয়ে কলেজের জাতীয়করণে গঠিত কমিটি অন্যায়ভাবে কিছু শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুল তথ্য দিয়ে মন্ত্রাণলয়ে পদ সৃজনকরার কপি পাঠায়। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক মোসাঃ আয়শা আক্তারেরশিক্ষাগত যোগ্যতা সম্মান দ্বিতীয় শ্রেণি থাকা সত্ত্বেও তাকে তৃতীয় শ্রেণি উল্লেখ করে মন্ত্রানালয়ে পদ সৃজন করার লক্ষে কাগজপত্র পাঠানো হয়। প্রভাষক মো. শামিম হোসেন এর প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষ (স্যার) তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণাত্মক ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে রুম থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং আমাকে প্রাননাশের হুমকি ও চাকরি হারানোর ভয় দেখান।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোন কোন শিক্ষক ঠিক ভাবে ক্লাস নিতে চায় না, আবার কেউ কলেজে না এসে স্বাক্ষর দিতে চায়। তাই তাদের মাঝে-মধ্যে রাগ দিতে হয়। এর বেশি কিছু না।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।