নাটোরের বড়াইগ্রামে (১২ অক্টোবর) শুক্রবার বিকেলে দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন ইউএনও আনোয়ার পারভেজ। ঘটনাচক্রে দুজন বালিকার নামই আঁখি।
একজন নগর ইউনিয়নের মশিন্দা গ্রামের আব্দুল আওয়ালের মেয়ে এবং পাঁচবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মানবিক শাখার ছাত্রী (১৫)। অপরজন জোয়াড়ী ইউনিয়নের কুমরুল শাহপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে এবং বনপাড়া বেগম রোকেয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩)।
নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, আঁখি তার নানা পাঁচবাড়িয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। শুক্রবার তার বিয়ে পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার জনৈক ছেলের সাথে দিন ধার্য্য হয়।
খবর পেয়ে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বিকেলে খলিলুর রহমানের বাড়িতে হাজির হলে বরপক্ষ সেখান থেকে সটকে পড়ে। পরে আখিঁর বাবা আব্দুল আওয়াল মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
অপরদিকে জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদ বলেন, ইউএনও মাধ্যম বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে কুমরুল শাহপাড়া সাইফুল ইসলামের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে শুনি বনপাড়া বাইপাস এলাকার জনৈক ছেলের সাথে আঁখির বিয়ের দিনধার্য্য হয়েছে। তাদেরকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে জানালে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।