দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর চিঠির তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে হাইকোর্টের ৩১টি জাল আদেশ। চিঠির সূত্র ধরে তদন্তের পর ভয়াবহ এ জালিয়াতির প্রমাণ পায় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। সোমবার (২০ মে) রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীর ৩১ ইটভাটার মালিককের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন উচ্চ আদালত। একই সাথে সিআইডিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় শ্বাস কষ্ট হয়, চোখ জ্বালাপোড়া করে। স্কুলের পাশের ইটভাটা সরাতে গত মার্চে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছিল দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার প্রাইমারি স্কুল পড়ুয়া দুই বছরের শিশু মায়িশা মনোয়ারা। কিন্তু ঐ ভাটার পক্ষে মালিকরা হাইকোর্টের আদেশ দেখালে থমকে যায় উচ্ছেদ কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর চিঠিতে বন্ধ হলো ইটভাটা
খটকা লাগে জেলা প্রশাসকের। হাইকোর্টের আদেশের সত্যতা জানতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে চিঠি লেখেন তিনি। তদন্তে নামে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। তদন্ত শেষে দেখা যায়, হাইকোর্টের ঐ আদেশ জাল। বের হয়ে আসে দিনাজপুর, রংপুর এবং নীলফামারীর ৩১ ইটভাটার মালিকের জালিয়াতির বিষয়টি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার বলেন, মায়িশা নামের একটি মেয়ে ডিসির কাছে একটা চিঠি লিখে। চিঠিতে মায়িশা লিখে, আমদের স্কুলের পাশে বিপ্লব নামের একজন ইটভাটা গড়েছে। সেই ইটভাটার ধোঁয়ায় আমাদের চোখ জ্বালা করে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তিন জেলার পুলিশ সুপারকে আদালত আদেশ দিয়েছে নিয়মিত ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তদন্ত করার জন্য এবং সিআইডি প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে এই তদন্ত কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য।
আগামী ২৫শে জুন এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন উচ্চ আদালত। ঐদিন জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।