বগুড়ার ধুনট উপজেলার শ্যামগাঁতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্থানীয় যুবকদের ক্লাবঘর করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ক্লাবঘরে সদস্যদের আড্ডা, গান-বাজনাসহ নানা ধরণের কর্মকা-ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে শ্যামগাঁতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিনের তৈরি ঘরে পাঠদান কার্যক্রম শরু হয়। এরপর সরকারিভাবে পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠাকালীন ঘরটি ভেঙ্গে টিনগুলো বিদ্যালয় ভবনে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করা হয়।
এদিকে, শ্যামগাঁতি গ্রামের আব্দুল মোন্নাফের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের টিনগুলো দিয়ে শ্রেণিকক্ষের পাশেই ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে একটি ক্লাবঘর তৈরি করেন। ক্লাবটির নাম শ্যামগাঁতি সম্প্রীতি সম্প্রসারণ সংঘ। আব্দুল মোন্নাফ ক্লাবের সভাপতির পদে আছেন। ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। ক্লাবঘরটিতে প্রতিনিয়ত গান বাজনাসহ আড্ডায় মগ্ন থাকেন সদস্যরা। এতে বিদ্যালয়ে পাঠাদান ব্যাহতসহ শিক্ষার্থীদের নানা ধরণের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুবাইদা গুলশান আরা বলেন, আমি কিছু দিন আগে বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি। এই কর্মস্থলে যোগদানের আগেই গ্রামের যুবকেরা বিদ্যালয় মাঠে ক্লাবঘর তৈরি করেছে। এ সমস্যার বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
ক্লাবের সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, বিদ্যালয়ে জমি দিয়ে দাতা সদস্য হয়েছি। সেই অধিকারে এলাকার একজন সমাজসেবক হিসেবে স্কুলের জায়গায় ক্লাবঘর তুলেছি এবং এলাকায় সমাজসেবা মুলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এখানে অন্যায় কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় না।
ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ক্লাবঘর উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। আর এ বিষয়টি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।