বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৮৫নং চরবাদুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের জমি দাতা সদস্য মো. আমজেদ হোসেন বেড়া দিয়ে দখলে নিয়েছেন। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হওয়া ছাড়াও যাতায়াতের জন্য বিদ্যালয়ের পাশের একটি খালের পাশ ব্যবহার করতে হচ্ছে। রাস্তাটি শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন অভিভাবকরা।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. আমজেদ হোসেন ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ের নামে ৫ কাঠা জমি লিখে দেন। পরে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লিখে দেয়া জমি দখলে নেন। বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বেড়া দেয়ায় বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের পথ প্রায় বন্ধ। শিশুদের খেলা করার মাঠ নেই।
এ ব্যাপারে জমি দাতা আমজেদ হোসেন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের নামে জমি লিখে দিয়েছি আমি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হব এবং আমি বিদ্যালয় পরিচালনা করব এই আশায়। কিন্তু কোথা থেকে এক লোক এখানে এসে নির্বাচন করে সভাপতি হয়ে গেছে আমি হেরে গেছি । তাই আমি বিদ্যালয়ে জমি দিব না। তবে বিদ্যালয়ের সকল উন্নয়নের ব্যাপারে আমি অসহযোগিতা করব।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম হায়দার বলেন তিন বছর পূর্বে জমি দখলমুক্ত করার জন্য উল্লেখিত স্থানে গিয়ে জমি দাতাকে বলা হয়ে ছিল। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা বলেন উল্লেখিত জমি দখল মুক্ত করার জন্য জমি দাতাকে একাধিকবার বলা হলেও কোন লাভ হয়নি।
বিদ্যালয়ের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতাংশ জমি থাকলেও বর্তমানে জমি আছে মাত্র ৮.১০ শতাংশ। বাকি জমি দাতা সদস্যরা দখল করে নিয়েছে। তিনি বলেন, উল্লেখিত ৮.১০ শতাংশ জমিতে পুরাতন ভবন রয়েছে যার কারণে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য কোন খেলার মাঠ নাই এবং বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য ভাল পথ নাথাকায় শিক্ষার্থীরা একটি খালের পাড় দিয়ে আসা-যাওয়া করে এতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।