পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মাটিভাংগা ইউনিয়নের ৩নং কদমবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজে নিম্নমানের উপকরণ, নির্মাণ কাজে কম সিমেন্ট ও রড ব্যবহারসহ বেইজ (ভিত্তি) ঢালাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে স্থানীয়দের বাকবিতণ্ডা ও নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে। জানা গেছে, ‘মোশারেফ হোসেন খান’ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানীয় সরকার উন্নয়নের আওতায় গত বছরের ৩ আগস্ট ৬৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একতলা ভবনের জন্য ৬০ লাখ ৮০ হাজার ৩০৪ টাকায় একটি কার্যাদেশ হয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহআলম ফরাজী জানান, বিদ্যালয়ের ভিত্তি ঢালাইয়ের কাজের সময় সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলীর সামনেই এর নির্মাণসামগ্রী হিসেবে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও নির্ধারিতের চেয়ে কম সিমেন্ট ও রড ব্যবহারসহ এর পুরুত্ব কম দেয়া হয়। এ কারণে তখন স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, ওই নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। দেয়াল নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইটের মান সঠিক দেখাতে তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলীর সামনেই এবং তার সহযোগিতায় ঢালাই কাজে নির্ধারিতের চেয়ে কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হলে স্থানীয়রা কাজে বাধা দিলে পরে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সঠিকভাবে করা হয়।
এ ব্যাপারে ওই কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আ. গফ্ফার হোসেন জানান, শ্রমিকরা মালামাল মিশানোর সময় ড্রামে ভুলে ২/১টা (ঝুড়ি) খোয়া বেশি দিতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘ভাই আমি একজন ছোট ঠিকাদার, ওখানে কাজ করতে গিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়েছি, আমার পিছে না লেগে বড় বড় ঠিকাদারদের পিছে লাগেন’।