মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত দেশের সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা সরকারিকরণের জন্য আগামী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বাজেট বরাদ্দের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। বুধবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে (ক্রাব) এ সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষকেরা।
সমিতির সহ সভাপতি মাওলান এবিএম আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আবু মুসা ভূইয়া, উপদেষ্টা মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, আনোয়ার হোসেন জুয়েল, মো. মহিদুল শেখ, মো. রনজু মিয়া প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে মাদরসাগুলো রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত হয়। রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিগত সরকারের সময় ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হতে হতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ৪০০টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় ইবতেদায়ি ৫ম শ্রেণি শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় সরকারের সকল কাজে অংশগ্রহণ করে। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২২-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়। কিন্তু ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন ভাতা পায় না। তবুও তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমিতির মহাসচিব বলেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষক সমিতি অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন চলাকালীন সরকারের নির্দেশে সচিব মহোদয় আন্দোলনস্থলে এসে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সামারী ২০১৯ এ প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠানো জেলা প্রশাসক কর্তৃক বাছাইকৃত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা ২০২০-২০২১ অর্থ বাজেটে প্রাইমারির ন্যায় সরকারিকরণের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২১ জুন দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও লাগাতার আনন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।