স্বপ্নময় হোক শিশুদের জীবন - দৈনিকশিক্ষা

স্বপ্নময় হোক শিশুদের জীবন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আজ ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালিত হচ্ছে বাংলাদেশেও। শিশুর মৌলিক অধিকার রক্ষার পাশাপাশি শিশুশ্রম বন্ধ করাই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য। শিশুদের যে হাতে বই-খাতা-কলম থাকার কথা, আমাদের দেশে বিভিন্ন কারণে সেই হাতে শিশুরা উঠিয়ে নিচ্ছে হাতুড়ি, ভাঙছে ইট, কাজ করছে শ্রমিক হয়ে। শনিবার ( ১২ জুন ) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

সম্পাদকয়ীতে আরও জানা যায়, দরিদ্র ঘরে জন্ম নেওয়ায় পেটের তাগিদে অথবা শ্রমের বিনিময়ে অন্ন সংস্থানের লক্ষ্যে বাধ্য হয়ে যোগ দিচ্ছে কায়িক শ্রমে। মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি অনীহা দেখা দিলে পড়াশোনার খরচজনিত আর্থিক জটিলতায় বাবা-মা শিশু সন্তানদের বিভিন্ন কাজে দিয়ে দেন। শিশুশ্রমের কুফল সম্পর্কে সামাজিক ও পারিবারিক অসচেতনতার কারণে অতি অল্প বয়সে শিশুরা নেমে পড়ে শ্রমবাজারে।

বর্তমানের করোনা সংকটে পারিবারিক আয়ে বিপর্যয় নেমে আসায় আরও অনেক শিশু বাধ্য হয়ে যোগ দিচ্ছে বঞ্চনামূলক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে, যা ভবিষ্যতে তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

শিশুশ্রমের ফলে শিশুদের দৈহিক ক্ষতি হয় এবং মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। ফলে তাদের শারীরিক, মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অবনতি ঘটে নৈতিকতার। তারা সুন্দর ও নিরাপদ শৈশব থেকে বঞ্চিত হয়। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সুন্দর পরিবেশ না পেলে শিশুর যথার্থ বিকাশ ঘটে না। বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে সবচেয়ে নাজুক হয়ে গেছে শিশুদের জীবন। এটি তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

শিশুশ্রম প্রতিরোধ সংক্রান্ত এই দিনটি শুধু দিবস হিসাবে পালন না করে শিশুদের সার্বিক অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে পালন করা উচিত। বর্তমান বাস্তবতায় নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন- সংকটের সময় শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান, দরিদ্র পরিবারের জন্য সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার সুযোগ, পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

সরকারি-বেসরকারি স্কুল-মাদ্রাসার বেতন বাতিল, প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি কার্যক্রম গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নসহ শিশুদের পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সংশ্লিষ্ট আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে শিশুশ্রম অনেকাংশে কমে আসবে।

সর্বোপরি সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ কর্তৃক জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও গণজাগরণ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। তাছাড়া মানুষের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। এসবের মধ্য দিয়ে আজকের শিশুকে আগামীর স্বপ্নতোরণে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

লেখক : মো. জাহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041930675506592