রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমের বিচ্ছিন্ন হওয়া হাত জোড়া লাগানোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রায় পৌনে ৭ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাত জোড়া লাগানো হয়েছে। তাকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না।
গোপালগঞ্জে দুর্ঘটনায় আহত ফাহিমা বেগমকে ঢাকায় আনার পরই চিকিৎসকেরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে যান। ইনস্টিটিউটের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে তার অস্ত্রোপচার হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া নামক স্থানে ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষাসফরের বাস সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দিলে শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমা বেগমের (৫০) একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় আহত হয় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী।
একাদশ শ্রেণির ছাত্র আহত ফাহাদ আরফিন অনন্ত জানায়, বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষাসফর এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়। সকালে ৬টি মিনিবাস ও মাইক্রোতে করে ১২৫ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্কুলের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাকরাইল থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। তাদের বাসে শিক্ষক ফাহিমা ও ৩০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাসটি পাথালিয়া পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শিক্ষক ফাহিমার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষিকাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষা সফরের বাস সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পেছনের দিকে ধাক্কা দিলে শিক্ষকসহ ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।