দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অসন্তোষ লেগেই আছে। ভাইস চ্যান্সেলরকে (ভিসি) কেন্দ্র করে অসন্তোষের পর এখন নতুন রেজিস্ট্রারকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
ভিসির অসহযোগিতায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে অচলাবস্থা সৃষ্টির অভিযোগ এনে বুধবার প্রশাসনিক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৭ জন শিক্ষক কর্মবিরতি শুরু করেন। ওইদিনই এই শিক্ষকদের নেতা প্রফেসর ডা. ফজলুল হককে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদ থেকে সরিয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের উপদেষ্টা মোহাম্মদ রাজিব হাসানকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেন ভিসি।
শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভিসির সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যোগ দিয়ে কর্মবিরতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। এতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। কর্মবিরতি থেকে সরে আসার সময় তারা প্রফেসর ডা. ফজলুল হককে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদে পুনর্বহালে ভিসির কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু ভিসি জানিয়ে দেন, প্রফেসর ডা. ফজলুল হককে আর রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া সম্ভব নয়।
নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে প্রফেসর মোহাম্মদ রাজিব হাসানকে দায়িত্ব দেয়ায় শিক্ষকদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি রাজাকারের সন্তান। শুধু তাই নয়, তাকে হাবিপ্রবি’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়ায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম জানান, আমরা তার (রাজিব হাসান) পারিবারিক ইতিহাস জানতাম না। ৩-৪ দিন আগে জানতে পেরেছি তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের রাজাকারের সন্তান। এজন্য তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিব হাসান বলেন, ভিসি আমাকে রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব দেয়ায় কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এজন্যই আমার বিরুদ্ধে এ রকম ন্যক্কারজনক মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।