পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে গত ২ বছরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জাজিরার ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবেেএসব শিকআ প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হয়ে পড়ছে বিদ্যালয় বিমুখ।
বর্ষার শুরুতেও পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পদ্মা ছিল ৭'শ মিটার দূরে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে বিদ্যালয়ের ভবন নিলামে বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর টিনের গোডাউন ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিদ্যালয়টি। কিন্তু তীব্র গরমে মেঝেতে বসে পড়ালেখা করতে হচ্ছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
কালু বেপারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন পদ্মায় বিলীন হওয়ায় মোক্তারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের তিনটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে চলছে পাঠদান। চরজুজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে মুলফৎগঞ্জ মাদ্রাসার কয়েকটি কক্ষে। দুই দফা ভাঙনের শিকার চর নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী স্থান হিসেবে এ টিনের ঘরটিও রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। বার বার ভাঙনের শিকার এসব বিদ্যালয়ে আশংকাজনক ভাবে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষকরা।
স্থায়ীভাবে এ সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান শিক্ষা অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।
শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ১৪ মাসে পদ্মায় বিলীন হয়েছে ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি বেসরকারি কলেজ। বিলীন হওয়া ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনটিই এখনও খুঁজে পায়নি স্থায়ী ঠিকানা।