সারাদেশে ৪২ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব স্কুলের ভবনগুলোর রুটিন মেইনটেনেন্স করা হবে এ টাকায়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় প্রতিটি স্কুল এ জন্য ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পাবে। ইতোমধ্যে এ টাকা বরাদ্দ ও ব্যায়ের মঞ্জুরি দেয়া হয়েছে। যেসব স্কুলে এসব টাকা দেয়া হয়েছে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য ৪০ হাজার টাকা পাওয়া স্কুলগুলোর তালিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
রুটিন মেইনটেনেন্সের জন্য পাওয়া ৪০ হাজার টাকা খরচ করতে ৪২ হাজার স্কুলকে কিছু শর্ত দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা শর্তগুলোর মধ্যে আছে, এ টাকা ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সম্পাদান করতে হবে। প্রাক্কলন প্রস্তাব এসএমসির সভায় অনুমোদন করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।
বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকায় প্রতিটি স্কুলের রুটিন মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। দরজা ও জানালার ফিটিংস, কাঁচ, হাতল, হুক ইত্যাদি মেরামত, ছাদ পরিস্কার, মেঝ ও সাইডওয়ালের টাইলস মেরামত, ড্রেন পরিস্কার, লাইট ও ফ্যানের সুইচ, রেগুলেটর, বোর্ড মেরামত, পুনঃস্থাপন, বৃষ্টির পানি নির্গমন পাইপ মেরামত, ভবনের দেয়াল, মেঝে বা ভবনের গায়ে জন্ম নেয়া যেকোন গাছ বা চারা গাছ অপসারণ, পানি সরবরাহের লাইন মেরামত, ওয়াশবল্ক ও টয়লেট মেরামত, পানির পাম্প বা মোটর মেরাতর, ওয়াশবল্ক পরিস্কার, নলকুপ মেরামত ও চাহিদা অনুযায়ী ছোটখাটো রুটিন মেরামত করা যাবে।
শর্ত হিসেবে আরও বলা হয়েছে, অডিটের জন্য বিল-ভাউচার ও প্রাক্কলনের কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে। আর স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদেরও অডিটের জন্য বিল-ভাউচার ও প্রাক্কলনের কপি স্কুলে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। এ রুটিন মেইনটেনেন্সের টাকা এসএমসির সভায় অনুমোদন ছাড়া খরচ করা যাবে না। ৩০ জুনের মধ্যে টাকা খরচ করতে হবে।
এদিকে ৩০ জুনের মধ্যে সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে উপজেলায় বরাদ্দ পাওয়া স্কুলের রুটিন মেইনটেনেন্সের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে অধিদপ্তর আরও বলছে, অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের আদেশ অনুসরণ করতে হবে। সেই সাথে ভ্যাট কর্তনসহ প্রচলিত সব আর্থিক বিধি অনুসরণ করতে হবে।
অধিদপ্তর বলছে, হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে বিল পাশের পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোনভাবেই নগদ টাকার মাধ্যমে স্কুল পর্যায়ের টাকা প্রদান করবেন না। স্কুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর বা ক্রস চেকের মাধ্যমে তা প্রদান করতে হবে। টাকা নিয়ে কোন আর্থিক অনিয়ম হলে ডিডিও দায়ী থাকবেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।