ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৭টি বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবন থাকায় ছাত্রছাত্রীরা টিন শেড ঘর বা খোলা মাঠে পাঠদান করছে। এর মধ্যে ৬টি স্কুলে ভবন পরিত্যক্ত হওয়া, নতুন কোনো ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীরা গাছতলায় লেখাপড়া করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৬১টি বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ। অধিকাংশই জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের আস্তর ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে, চালের টিন ছিদ্র হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে, দরজা-জানালা নেই। ভবন ও শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতা স্বাভাবিক পাঠদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা জানান, উপজেলার কাকনী, তারাটি উত্তর, বারইপাড়া, দিস্তা, চড়েরভিটা, ভালকি, রায়জান, গোপালদারিকেল, রাজদারিকেল, শিমুলিয়া, আমিনা একাডেমি, বহেরাকান্দী, কানুয়ারী, চরপাড়া, মোহাম্মদপুর, আবু আলী চৌধুরী, ডৌহাতলী, বহেরাকান্দী, গোয়াতলা আঞ্জুমান, হরিয়াতলা, পূর্ব তারাকান্দা, কাঠুরী, সাদিপুর, পশ্চিম ঢাকিরকান্দ, রামপুর, বালিখাঁ, দাদরা, পাগুলী, তালদিঘী, চাড়িয়া, রাউতনবাড়ি, বাহেলা, পাথারিয়া, ভাঙ্গারপাড়, লোনহালা, টিউকান্দা, পঙ্গুয়াই, শিকারপুর, কাকুড়া, পানিহরী, মাসকান্দা শেখ রাসেল, হাজি গিয়াস উদ্দিন, কালনীকান্দা, তিলাটিয়া, ভাট্টা বাটপাড়া, বাটিয়া, হরিয়াগাই, ওয়াই, সানুরা, লাউটিয়া, চাঁন্দপুর, তারাকান্দা, উলমাকান্দী, গির্দাপাড়া, কামারিয়া, ইসলামপুর, পলাশকান্দা, শুবলিয়াপাড়া, গিটুয়ারী, লালমা, ফতেপুর, প্রজাপদখিলা, গোপালপুর, চরপাড়া-১, রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে। এর মধ্যে বহেরাকান্দী, চরপাড়া-২, মহাব্বতপুর, হাজি আবু আলী চৌধুরী, ডৌহাতলী, হরিয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন জরাজীর্ণ ও ঝঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনহীন বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন জানান, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।