বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রোপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, ‘মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের অবকাশ নেই। এই পরীক্ষা বাতিলের আমরা কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি। আমরা এখন ভাইভা পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব এ তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
বিএসএমএমইউ-তে মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে যে অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলোকে আংশিক ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রোপাচার্য (প্রশাসন) এসব কথা বলেন।
ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘কেউ যদি আমাদের দেখাতে পারতো, প্রশ্নফাঁস হয়েছে তাহলে আমরা এই পরীক্ষা বাতিল করতাম। পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছিল, পরীক্ষার চার দিন আগে প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হয়েছে। আমরা এমন কোনো প্রমাণ পাইনি। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখেও এমন কিছু পাইনি।’তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্ররা যেসব অভিযোগ করছে আমরা ঢালাওভাবে তাদের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলিনি। পয়েন্ট ধরে বলেছি, যেগুলো আমাদের নজরে এসেছে। এরমধ্যে যেমন এক জায়গায় আছে, একজন বয়স কমিয়ে লিখেছিল। তার বয়স গোপন করাটা আমরা অনৈতিক বলে মনে করেছি। তার নামে আমরা শাহবাগ থানায় জিডিও করেছি। আরেকজন আগেই ধরা পড়ায় তাকে আমরা পরীক্ষায় বসতে দেইনি।’
ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই কোনো একটি বিশেষ কক্ষে প্রশ্নপত্র খোলার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওভারঅল পরীক্ষার কমিটিতে প্রশাসন যুক্ত থাকে। এই পরীক্ষায় আমার নিজের মেয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, সে টিকেনি। আমাদের অনেক অধ্যাপকের সন্তান পরীক্ষা দিয়েও চান্স পায়নি।’
ডেন্টালের শিক্ষার্থীদের মেডিক্যালের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আংশিক সত্য। বিভিন্ন গ্রুপে যখন প্রশ্ন দেওয়া হয় এক গ্রুপের প্রশ্ন অন্য কারও কাছে চলে যেতে পারে। এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লেস করে যারটা তাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
প্রশ্নপত্র আউট হওয়া প্রসঙ্গে প্রোপাচার্য বলেন, ‘ছাত্ররা বলেছিল, প্রশ্নপত্র আউট হয়েছে। আমরা সেই প্রশ্ন দেখাতে বলেছি। তারা দেখাতে পারেনি।’
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউ’র মেডিক্যাল অফিসার (চিকিৎসক) নিয়োগে গত ২২ মার্চ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে এ ফল বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করছে। গত ১৮ মে এ পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে চিকিৎসকরা। এ নিয়ে তারা হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।