‘মায়ের ইচ্ছা পূরণেই আজ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ’ - দৈনিকশিক্ষা

মা দিবস আজ‘মায়ের ইচ্ছা পূরণেই আজ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ’

মুরাদ মজুমদার |
সুযোগ এসেছিল অনেক। শিক্ষা প্রশাসনের ডাকসাইটে কর্মকর্তা হওয়ার হাতছানি। সহকর্মীরাও চেয়েছেন নানান পদে যান তিনি। কিন্তু কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেননি। মন পরে ছিল একজনের চাওয়াতেই। আর তা হলো মায়ের ইচ্ছের কথা। এ যেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ইচ্ছা পূরণের কাব্যকথা। যে মানুষটি মাকে এমন উচ্চাসনে বসিয়েছেন তিনি শিক্ষাবিদ নেহাল আহমেদ। হ্যাঁ, বলছিলাম ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ-এর কথা। রত্নগর্ভা মা আছিয়া আলমের ইচ্ছা, সন্তান বড় হয়ে শিক্ষকতা করবে। ব্যাস, মায়ের এই ইচ্ছাকে ভেতরে লালন করে এত দূর এসেছেন অধ্যাপক নেহাল। শনিবার দৈনিক শিক্ষাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেপথ্যের সে কথাই বলেছেন তিনি।  শিক্ষা প্রশাসনের বড় পদে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও তা গ্রহণ করেননি ইংরেজির এই ডাকসাইটে অধ্যাপক। তাঁর রত্নগর্ভা মা বর্তমানে কিশোগঞ্জের মিঠামইনের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। স্কুলজীবন থেকেই খেলাঘরসহ সব সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত এই গুণী মা চেয়েছেনে তাঁর ছেলে শিক্ষকতা করবে। শিক্ষা প্রশাসনের অফিসে চাকরি করার চাইতে দেশসেরা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হতে পারা অনেক বেশি সম্মানের-গৌরবের মনের করেন তাঁর মা।

ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হতে আগ্রহী শিক্ষা ক্যাডারের অনেক অধ্যাপকই। অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের অনেকেই এবং সাংবাদিক বন্ধুরাও চেয়েছিলেন আমি যেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বড় পদে যাই।

আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব মা দিবস

বিভিন্ন মহল থেকে যখনই এ আলোচনা উঠেছে আমি বরাবরই আমার মা ও মামাদের ইচছার কথা মনে রেখেছি। দৃঢ় থেকেছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষা প্রশাসনের অনেক পদে যেতেই অনেক সহকর্মী ও বন্ধুরা উৎসাহ দিলেও তিনি কখনো তা চাননি।

৫ মে নেহাল আহমদকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে কয়েকমাস ধরে তিনি এই কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাগ্নে। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসেই নেহাল আহমদকে ঢাকার বাইরে বদলি করে। মিসপোস্টিং দিয়ে, নিয়মিত বেতন তুলতে না দিয়ে, একাধিক তদন্ত করিয়ে নেহাল আহমেদকে নানা ভোগান্তিতে ফেলেছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক। ২০০২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজে চাকরি করতে হয়েছে তাঁকে। পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ফের ঢাকায় বদলি হয়ে আসার সুযোগ পান জনপ্রিয় ও নাট্যব্যক্তিত্ব নেহাল আহমেদ।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.018531084060669