করোনা পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আসলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে জুনে এসএসসি ও জুলাই অথবা আগস্টে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী করোনার ভাইরাস মহামারির কারণে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারের ছুটি আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। এসময়ে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলোও বন্ধ থাকছে।
ছুটিকালীন ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের বলা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।
গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মহামারির কারণে নেয়া সম্ভব হয়নি। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষার ফল ঘোষণা হওয়ার কথা।