বাংলাদেশে পড়তে আসবে ২৯ জন অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থী | বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিউজ

বাংলাদেশে পড়তে আসবে ২৯ জন অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থী

‘নতুন কলম্বো পরিকল্পনা’র আওতায় আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার ২৯ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতে বাংলাদেশে আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পার্থে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ এ কথা জানান। উল্লেখ্য, ‘নতুন কলম্বো পরিকল্পনা’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের একটি উদ্যোগ। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়া সরকার তার দেশের কয়েক শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে..

‘নতুন কলম্বো পরিকল্পনা’র আওতায় আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার ২৯ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতে বাংলাদেশে আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পার্থে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ এ কথা জানান। উল্লেখ্য, ‘নতুন কলম্বো পরিকল্পনা’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের একটি উদ্যোগ। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়া সরকার তার দেশের কয়েক শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে পড়তে পাঠায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ খাতে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বর্তমানে পার্থে ‘বালি প্রসেস গভর্নমেন্ট ও বিজনেস ফোরামে’ ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আধাঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে অস্ট্রেলীয় নাগরিক ও পার্থের বাসিন্দা উইলিয়াম ওডারল্যান্ডের অবদান স্বীকার করেন। মাহমুদ আলী জুলি বিশপকে জানান, উইলিয়াম ওডারল্যান্ডই একমাত্র বিদেশি, যিনি বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব ‘বীরপ্রতীক’-এ ভূষিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘চমৎকার’ হিসেবে উল্লেখ করে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে অস্ট্রেলিয়ার প্রার্থিতার প্রতি সমর্থনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক কূটনীতির প্রসারে তাঁর সমর্থন প্রত্যাশা করেন। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠাসহ এ খাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।