ভোলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো: জাহিদ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকলেও তাকে বরখাস্ত করেননি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। উল্টো জাহিদের জামিনের জন্য তদবির করার অভিযোগ উঠেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে দায়ের করা একটি মামলায় গত ৩০ নভেম্বর সিআইডি পুলিশ জাহিদকে আটক করে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
তবে, জেলা শিক্ষা অফিসার জাকিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন, ‘অফিস সহকারী মো: জাহিদ গত ২ ডিসেম্বর থেকে অফিসে নেই। যতটুকু জানি সে কি একটা মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।’
অফিস সহকারী জাকিরুলের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, এমপিও জালিয়াতি, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বরখাস্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, ‘অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেবো,লোকই তো নেই। আমার অফিসে তো কোনো কাগজ আসেনি। কাগজ না আসলে কিভাবে ব্যবস্থা নেবো? আমি তো কোথাও কাগজ চাইতে পারি না। কাগজ না আসা পর্যন্ত কোথায় তার অস্তিত্ব বুঝতে পারবো না।
তিনি দাবি করেন, ছুটি চেয়ে জাহিদের লেখা একটা দরখাস্ত আমার টেবিলে আছে। গ্রেফতার হওয়ার আগেই জাহিদ ছুটির দরখাস্ত জমা দিয়ে গেছেন বলে দাবি শিক্ষা অফিসারের।
তবে, একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে, জাহিদ ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অফিসের কতিপয় দালাল মিলে তৈরি করা একটি চক্রের মাধ্যমে এমপিও ও বদলি বাণিজ্য করেন জেলা শিক্ষা অফিসার জাকিরুল ইসলাম। তাই বিধান অনুযায়ী গ্রেফতার হলেই বরখাস্ত করার কথা থাকলেও চেপে যাচ্ছেন জাকিরুল। এমপিও এবং বদলি বাণিজ্য বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকিরুল।