জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনের সড়কে ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করেছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সশরীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে হবে। পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ ছাড়া একই ব্যাচের বিগত পরীক্ষাগুলোর ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ ও করোনার বন্ধে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জহির ফয়সালের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছরেও অনার্স শেষ করতে পারিনি। এখনো তৃতীয় বর্ষের রেজাল্ট পাইনি। এমনকি একই বর্ষে একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থী ক্লাস করছি। আমাদের সেশনের বন্ধুরা শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি করছে। এই হতাশার শেষ কোথায়! আমরা চাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমাদের পরীক্ষা শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় বসতে।’
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মহামারির কারণে বারবার তাঁদের পরীক্ষা দেরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাস-পরীক্ষা নেন না। ফলে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া স্থগিত পরীক্ষাগুলো দ্রুত নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। এ সময় কয়েকজন সহকারী প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, স্মারকলিপি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হবে।