একটি বাইসাইকেলের সামনে লেখা ‘প্রশাসনিক স্বৈরাচার রুখে দাও’। এমনটি লেখার কারণ জানতে চাইলে সাইকেলের চালক বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যেখানে সর্বস্তরের প্রতিনিধি থাকার কথা, সেখানে ২৭ বছর ধরে কোনো ছাত্র প্রতিনিধি নেই। অর্ধেকের কম সদস্য উপাচার্য নির্বাচন করে ফেলেন। একে স্বৈরাচারী বলা যাবে না?
গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে ‘দুই চাক্কার মিছিল’–এ যোগ দেওয়া এক তরুণ এ মন্তব্য করেন। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়। তবে মিছিলে বাইসাইকেলের চেয়ে পেছনে হাঁটা শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি ছিল।
বাইসাইকেলে শিক্ষার্থীরা ‘ডাকসু নির্বাচন কে আটকায়?’, ‘ডাকসু মানে স্বাধীনতা’, ‘দফা একটাই, ডাকসু চাই’, ‘ডাকসু নির্বাচন বন্ধ রাখাই বিশৃঙ্খলা’—এসব লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। কেউ কেউ হেলমেট পরে পুরোদস্তুর সাইক্লিস্ট হয়ে যান। একজনের সাইকেল পালা করে চালান কেউ কেউ। মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, মধুর ক্যানটিন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, কলা ভবন, টিএসসি, শহীদ মিনার, কার্জন হল ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডাকসু ভবনের সামনে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানতে চাইলে আন্দোলনের সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহ্দী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে ও আগামীকালের (আজ) উন্মুক্ত আলোচনায় যোগ দিতে এই শোভাযাত্রা।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দিন সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি রাখার দাবি জানাতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের হাতাহাতি হয়। এর প্রতিবাদে তাঁরা একাধিকবার কর্মসূচি করেছেন। কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের জোট—প্রগতিশীল ছাত্রজোটও বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে।