সদ্য সরকারিকরণ হওয়া ২৭১ কলেজে কর্মরত ও তেরো এগারোর জটিলতায় ননএমপিও থাকা শিক্ষকদের জন্য সুখবর রয়েছে। ১২ আগস্ট ২৭১ কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির পর যারা তেরো এগারোর প্রজ্ঞাপনের পর নিয়োগ পেয়েছেন কিন্তু এমপিওভুক্ত হতে পারেননি তারা উৎকন্ঠায় ছিলেন। সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির আগে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এসব কলেজের ডিড অব গিফট সম্পাদন হয়। ডিড অব গিফট সম্পাদনের পর এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ও সম্পত্তি হস্তান্তর বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভুক্তভোগি শিক্ষকরা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানিয়েছেন,২৭১টি কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির পর এসব কলেজের ননএমপিও শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান থেকে যে বেতন দেয়া হতো তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কবে সরকারি বেতন হবে সেটাও অনিশ্চিত। আবার গত ১২ আগস্ট সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির পর তেরো এগারোর জটিলতায় থাকা ননএমপিও শিক্ষকদের উৎকণ্ঠা বেড়ে গিয়েছিলো।
রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও সিলেট খেকে কয়েকজন প্রভাষক দৈনিক শিক্ষার কাছে তাদের উৎকন্ঠার কথা জানান। গত সপ্তাহে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান ভূঞা ইমেইলে দৈনিক শিক্ষাকে তার উৎকন্ঠার কথা জানান।
“তেরো এগারোর পর নিয়োগ পেয়ে এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারিনি। কারণ, আমাদের কলেজের ২ জন শিক্ষকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এখন প্রতিষ্ঠানটি জাতিয়করণ হয়েছে।এখন আমাদের নাম আসলে কী আমরা এমপিওর আবেদন করতে পারবো,” যোগ করেন তিনি।
দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, তারা যেহেতু বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত তাই তারা সরকারি বিধান অনুযায়ী স্ব স্ব কলেজে সরকারি শিক্ষক হিসেবে আত্তীকৃত হবেন। তাদেরকে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে হবে না।
অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালক বলেন, বৈধভাবে নিয়োগ হলে এমপিওভুক্তিতেও বাধা নেই। তবে, তেরো এগারোর জটিলতায় থাকা সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের কলেজে আত্তীকরণের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো।