অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও নিয়োগ সুপারিশ করার মতো দুটো বড় কাজ হাতে রয়েছে এনটিআরসিএর। এরই মধ্যে এনটিআরসিএর আইন বদল ও পরীক্ষা কমানোসহ নানা নতুন চিন্তা রয়েছে। যদিও এগুলোর কোনোটিই রাজনৈতিক সরকার আসার আগে বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা কম। এরই মধ্যে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়ে আগ্রহীরা জানতে চান দৈনিক শিক্ষাডটকম এর কাছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কয়েকজন কর্মকর্তা নানা যদি কিন্তুসমেত কিছু তথ্য দিয়েছেন। যদি কয়েকটি গুজব ছড়ানো ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ এবং নামধারী টেলিভিশন কিছু গুজব ছড়িয়েছে। তবে, আশার কথা প্রকৃত পাঠকেরা ওসবে কান দেন দেন না।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, চলতি বছরে ১৯তম পরীক্ষার কোনো কাজ শুরুর সুযোগ দেখছি না। এমনটাই আমাদেরকে জানানো হয়েছে এনটিআরসিএ থেকে। সম্প্রতি এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এমনটা জানিয়েছেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ব্যবস্থাপনায় গত বছরের ১২ ও ১৩ জুলাই অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজর ২০৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ৪ জুন ফল প্রকাশ হয়।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
এদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগে আর আলাদা করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার প্রস্তাব করেছে এনটিআরসিএ। ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির পর আর কোনো গণবিজ্ঞপ্তি দিতে চায় না প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতেই হবে শিক্ষক নিয়োগ। এনটিআরসিএ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনটিআরসিএর অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামীতে শিক্ষক পদে সুপারিশ ও বাছাই কার্যক্রমে পরিবতর্নের অংশ হিসেবে আলাদা তিন-চারটা বিজ্ঞপ্তি না দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাব মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে তা বাস্তবায়ন হবে। ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির পর এটা বাস্তায়ন করা হতে পারে।
এদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি ১৬ জুন প্রকাশ করা হবে। তবে ২২ জুন দুপুর ১২টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে। ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এই আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে। এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স, নারী কোটা, সনদের বয়সসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আসছে।
এনটিআরসিএর একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে, বয়স ধরা হতে পারে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে।
অর্থাৎ চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। আর সনদের মেয়াদ ধরা হবে নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩ বছর। সে অনুযায়ী ৪ জুন থেকে প্রার্থীর বয়স ও সনদের মেয়াদ ধরা হচ্ছে। ‘ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স নিয়ে যে সিদ্ধান্ত’ শিরোনামে দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রতিবেদনে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ছাড়াও বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আবেদন করলে এবং সে অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে এই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৫ মে- এর চিঠির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে কোনো মহিলা কোটা থাকবে না।
নিয়োগ সুপারিশে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃত প্রাথীকে নিয়োগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়, তবে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানপ্রধানের এমপিও স্থগিত-বাতিলকরণ এবং ম্যানেজিং কমিটি-গভর্নিং বডি বাতিলকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিলকৃত শূন্যপদগুলোর চাহিদা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সংগৃহীত হওয়ায় ভুল চাহিদাজনিত কারণে নিয়োগ সুপারিশে কোনো জটিলতার জন্য এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।