২০ কেজির গ্রাস কার্প মাছ মিললো বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

২০ কেজির গ্রাস কার্প মাছ মিললো বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে

পানিতে গ্যাস তৈরি হওয়ার লেকে মাছ মরতে শুরু করেছে। লেকের পানি গ্যাসমুক্ত করতে ওষুধ দেওয়া প্রয়োজন অন্যথায় বাকি মাছগুলোও মরে যাবে।

#বিশ্ববিদ্যালয়

হঠ্যাৎ করেই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি গ্লাস কার্প মাছ ধরেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১ মে) ফজরের নামাজ পড়ে কিছু শিক্ষার্থী হলের দিকে আসেন। এ সময় তারা লেকের মধ্যে প্রায় মৃত কিছু মাছ ভাসতে দেখেন।

তারপর ওই মাছ ধরতে কয়েকজন শিক্ষার্থী লেকে নামতে শুরু করেন। এরপর তারা আরো মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে। এক এক করে শিক্ষার্থীরা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যরা মাছ ধরার জন্য লেকে নেমে পড়েন। এ সময় লেকে মাছ ধরার রীতিমতো এক উৎসব তৈরি হয়।

মাছ ধরার জন্য কেউ রুম থেকে মশারি, কেউ টানা জাল, কেউ ঠেলা জাল নিয়ে লেকে নেমে পড়েন। দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই উৎসবে শিক্ষার্থীদের কেউ গ্লাস কার্প, কেউ ব্রিগ হেড, সিলভার কার্প, সরপুঁটি, তেলাপিয়া, পুটি, কেউ চিংড়ি মাছ নিয়ে লেক ছাড়েন।

শিক্ষার্থীরা জানান, পানিতে গ্যাস তৈরি হওয়ার লেকে মাছ মরতে শুরু করেছে। লেকের পানি গ্যাসমুক্ত করতে ওষুধ দেওয়া প্রয়োজন অন্যথায় বাকি মাছগুলোও মরে যাবে।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আলহাজ হোসেন বলেন, ‘সকালে আমরা কয়েকজন মিলে ফজরের নাম শেষ করে হলের দিকে আসি। এ সময় লেকে মাছ ভাসতে দেখি। এরপর এক এক করে সবাই মাছ মারতে লেকে নেমে যাই।’

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবু হুরায়রা মুন বলেন, ‘এখানে ২০ কেজি ওজনের আমরা একটা মাছ পাই। এটা প্রথমে ভাসতে দেখি।

এরপর কয়েকজন মিলে ওই মাছটা ধরি। এরপর হলের ছাত্ররা লেকে নামেন। সবাই মোটামুটি কম বেশি মাছ পেয়েছে। সকাল বেলা এখানে একটা উৎসবের মত ছিল।’

স্টেট শাখা ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজা উদ্দিন বলেন, ‘সকালে আমি শুনতে পাই শিক্ষার্থীরা লেকে মাছ ধরতে নেমেছে। গ্যাসের কারণে মূলত মাছ মরেছে। জায়গাটা বদ্ধ হওয়ার কারণে এখানে পানির কোন প্রবাহ নাই যার কারণে গ্যাস জমেছে। আমরা দ্রুতই ওষুধ দিয়ে পানি গ্যাস মুক্ত করব। আর আমাদের সামনের বর্ষায় লেকে নতুন করে মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা আছে।’

#বিশ্ববিদ্যালয়