ছাত্রের হা/মলায় খুবি শিক্ষক আহ/ত, তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ছাত্রের হামলায় খুবি শিক্ষক আহত, তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অভিযোগ করেন, কথা বলার এক পর্যায়ে ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী নোমান সহকারী পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

#খুবি #খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় #শিক্ষক #শিক্ষার্থী

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিবের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন: খান জাহান আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক খসরুল আলম ও গণিত ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক আজমল হুদা। কমিটিকে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে নোমান নামে ১৮ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে আঘাত করেন।

আরো পড়ুন: ছাত্রের হামলায় খুবি শিক্ষক আহত, গভীর রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিসির বাংলোয় আম পাড়ছিলেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ও সহকারী পরিচালক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অভিযোগ করেন, কথা বলার এক পর্যায়ে ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী নোমান সহকারী পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

রাতেই তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং হামলাকারী আবদুল্লাহ নোমানকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন; একইসঙ্গে, তারা হামলাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘আমরা যেটা জানতে পারি যে, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কিছু ছাত্র জড়ো হয়ে ভেতর থেকে আম পাড়ছিলো। আমরা সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ওই ছেলে এসে আমার সহকারী পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন, এতে তার মতো সুঠাম দেহের অধিকারী একজন মানুষ পড়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গে। এটাকে আমি একদম বিচ্ছিন্ন ঘটনাও বলবো না, এটার পিছনে আমার ধারণা, কোনো একটা সুদুর প্রসারী চক্রান্ত রয়েছে।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি, শিক্ষকরাও অনড় অবস্থানে রয়েছেন, এটার একটা দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের। কর্তৃপক্ষ সেই দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

#খুবি #খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় #শিক্ষক #শিক্ষার্থী